*আত্ম কথা……
ভাবনা গুলো ছড়িয়ে যাক সবার প্রাণে…
সমকামী বুড়ার খপ্পড়ে !!!
মে 27, 2010
Posted by চালু করুন সমকামী সম্পর্কে প্রথম জানি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। বিষয় টা তখন আমি মনে করতাম ও হয়ত ফাজলামী করে বলছে। এর কয়েক মাস পর কলকাতা গিয়েছিলাম সে খানে স্থানীয় পরিচিত একজন এই বিষয় টা সম্পর্কে আমাকে স্বচ্ছ ধারনা দিল তখন থেকে আমি নিশ্চিত এই রকম কিছু একটা আছে। তারপরে খুব দ্রুত এই সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে গেলাম নেটে, ছবি তে , বন্ধুদের আড্ডায় আরো অনেক সোর্স থেকে যাই হোক।কোন এক ভাবে আমার সাথে কলকাতার এক সমকামীর সাথে পরিচয় হয়। যদিও বয়স আমার থেকে বেশি কিন্তু অনেক স্মার্ট। তার কাছ থেকে আমি যে গুলো জানলাম মনে হলো আমার মত অর্বাচীন দ্বিতীয় টি নেই। তার নাকি বাংলাদেশে ও অনেক চাহিদা আছে কয়েক মাস পর নাকি তাকে বাংলাদেশে আসতে হয়। তার কাছ থেকে জানলাম কি ভাবে পরিবর্তক দ্রব্যের উপযোগ সর্বোচ্ছ করা যায় । অনেক কথায় হল এই বিষয় নিযে । সব শেষ তাকে আমি একটা প্রশ্ন করলাম আচ্ছা দাদা এইসব করতে আপনার কেমন ফিলিংস হয় ? উনি বলল আমরা মেয়েদের চেয়ে বেশি ফিলিংস দিতে পারি এবার তা এক্টিভ (যে দিবে) এর উপর নির্ভর করবে। আমি বললাম আমার কাছে বিষয় টা কেমন যেন লাগে এর উত্তর দিল ‘একবার টেষ্ট নিয়ে দেখুন না’, বুঝলাম, এখান থেকে কথাটা ইউ টার্ন নিয়ে অন্য কথায় চলে গেলাম এর পর ঐ দাদার সাথে আর দেখা হয় নাই।
পরে অবশ্য বাংলাদেশে এসে কয়েক বার আমাকে ফোন করেছিল নানা অযুহাতে স্কিপ করেছি। এই ঘটনা থেকে অনেক কিছুই জানলাম এবং জানার আগ্রহ টা জান মাল হারানোর ভয়ে থামিয়ে দিলাম।এরপর কেটে গেল অনেক সময়।
এই লিখাটা লিখার কয়েক দিন আগে আমি আমার অফিসের কাজে গিয়েছিলাম রাজশাহী। এর আগে আমার রাজশাহী যাওয়া হয় নি। রাজশাহী তে আমাদের কোম্পানীর নিজস্ব অফিস ছিল তাই যাওয়ার আগে জেনে নিলাম কি ভাবে ওখানে পৌছাতে হবে। তাই সেই ভাবে পৌছে গেলাম। ঢাকা থেকে রওনা দিলাম রাত ১১ টায় পৌছলাম ভোর ৪ টায়। এমনিতেই বাসে আমার ঘুম হয় না তার উপর একটা পিচ্ছি উঠল সারা রাত কান্দা কাটি আর এই ভাবে ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে রাত পর হল। আমাদের কোম্পানীর অফিসে ৪টা রুম ২ টা রুম বেড আর ২ টা রুম অফিস হিসেবে চলে। সে খানে দায়িত্বে আছে একজন বুড়ো নানা (৪০-৪৫) । নানা বলছি এই জন্য আমার বস উনাকে কাকা বলে ডাকে আর আমি বস কে ডাকি মামা তাই সেই সম্পর্কে উনি আমার নানা। অফিসে পৌছলাম সাড়ে চার টায় পৌছানোর সাথে সাথে নানা আমাকে হালকা ব্রিফিং দিয়ে দিলেন আজ কে আমাকে কি কি কাজ করতে হবে। সব শুনে মাথায় ইন্সটল করে নিলাম আর হাত মুখ দুয়ে নামায পড়ে নিলাম। বললাম নানা আমি আগে কিছুক্ষন ঘুম যাই তারপর কাজ গুলো শুরু করব। উনি বলল তুমি কোথায় ঘুমাবা? আমি এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলাম একমাত্র নানার খাট ছাড়া আর একটাও খাট ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাই বললাম আপনার যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে আমি আপনার খাটে ঘুমাই। উনি বলল ঠিক আছে বলে বিছানা টা আরেক টু পরিষ্কার করে দিলেন খাটের পাশে জানালা ছিল ওটা বন্ধ করে দিতে গিয়ে বলতে লাগল রোদ উঠলে তোমার সমস্যা হতে পারে। এই সব বলে উনি আমার সাথে শুয়ে পড়লেন । আর আমি চিন্তা করছি কি ভাবে আজকের কাজ দ্রুত শেষ করে ঢাকা পৌছাতে পারি, এত ক্লান্ত ছিলাম যে চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুম এলো টের ই পেলাম না। কিসের শব্দে যেন আমার ঘুম ভাঙ্গল বুঝলাম না। আর আমার দম টানতে কষ্ট হচ্ছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বুঝতে পারলাম আমার গায়ের উপর কেউ একজন শুয়ে আছে। আরো কয়েক সেকেন্ড লাগলে পুরো ব্যপার টা বুঝতে। সব শেষ যে বিষয় টা মাথায় ক্যাচ করল তা হল এই রকম, আমার গায়ের উপর একটা বুড়া ব্যংঙ বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে আছে। এই মূহুর্তে কি করা যায় ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। কিন্তু কিছু একটা করতে হবে হুট করেই মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেল নানা কয়টা বাজে ? এবার উনি ব্যংঙ থেকে মানুষ হলেন, লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই ঐ বূড়া খাটাশের কয় তুমি নাস্তা করবা কি দিয়ে? আমি কোন উত্তর দিলাম না শুধু অন্য পাশে ফিরে গেলাম। আর ভাবছি কি থেক্কা কি হইল কোন দেশে আইলাম। এই ৩ বছর চাকরি করি এই ফার্মে এমন ঘটনা ত আর দেহি নাই শুনি ও নাই। তয় অই বুড়ারে একটা শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু ক্যমনে ? আমি তো এখানে একা, এই চিন্তা করতে করতে আবার ঘুম দিলাম।
মোবাইলের এলার্ম ছিল, ৯ টায় উঠে গোসল করলাম, গোসল শেষ করে দেখলাম, আমি ছাড়া অফিসে কেউ নাই কিছুক্ষন পর বুয়া এলো আমাকে বলল স্যার কি খাবেন ? আমি বললাম সকালে এখানে কয় জন নাস্তা খায় বুয়া বলল ঐ চাচাই খায় আর কেউ খায় না। কিঞ্ছিত ধারনা হল হল নানার কাজ কাম নিয়া । আমি বললাম যাই খাওয়ান না ক্যন শেষে ভালো করে চা বানাতে হবে। আলোচনায় খিচুরী ফাইনাল হল। কিন্তু নানার কোন খবর নাই !!! বুয়াকে বললাম নানা কই? বুয়া বলল আমার সাথে রাস্তার মাথার দোকানে দেখা হয়েছিল আমাকে বলল আপনি নাকি এখানে কয় দিন থাকবেন যা যা খেতে চাইবেন তাই যেন আপনাকে খাওয়াই, ধরনা করলাম নানা শরম পাইছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কাজ কামে লেগে গেলাম, সব কাজ দুপুর ১২ মধ্যেই শেষ করে ফেললাম আর বার বাকি কিছু কাজ শেষ করতে হবে বিকেল ৫ টায় হাতে সময় ৪ ঘন্টা ফ্রি কি করা যায় চিন্তা করতে করতে মেইন রাস্তায় চলে এলাম। কয়েক টা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দেখলাম। চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে দোকান দার কে বললাম এখান দেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ভাবে যামু? সে অনুসারে গেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু একা একা ভালো লাগে না কিছু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কে পড়ে? পড়ে? চিন্তা করতেই আমার আরেক দোস্তের কথা মনে পড়ল কিন্তু তার মোবাইল নং নাই পরে এদিক সেদিক ফোন করে ফোন নং ম্যনেজ করে তার সাথে দেখা করলাম। ৪ ঘন্টা সময় ঠিক ভাবেই কাটালাম দুই দোস্ত । দোস্তরে বিষয় টা খোলাসা করে বলে ফেললাম । এদিকে ৫ টা বেজে গেল দোস্তুরে সাথে নিয়া ঐ কাম টাও শেষ করে ফেললাম।
অফিসে গেলাম দেখি নানা আছে। এবার নানাকে আমি ব্রিফিং দিলাম কি কি কাজ করে দিলাম আমি । আমার দোস্তের সাথে নানার পরিচয় করিয়ে দিলাম। নানা কে বললাম নানা আপনার সাথে আমার কিছু পার্সোনাল কথা আছে একটু পাশের রুমে আসুন। পাক্কা ১৫ মিনিট, তার সকাল বেলার কু-কামের আমলনামা প্রিন্ট দিলাম তার সামনে। তার সাথে আরো প্রিন্ট দিলাম কিছু নীতি বাক্য। নানার অবস্থা খারাপ দেখেই আমার নিজেরই খারাপ লাগল। আর নানার উত্তর গুলো ছিল এইরহম ,আমি আজ সকালে নামাজ পড়ি নাই তাই শয়তান আমারে ধরছে, তুমি আমার নাতীর সমান তোমার লগে একটু দুষ্টামি করলাম আর কি (গায়ে হাত দিয়ে)। আর আমি এখানে একা থাকি কিছু ভালো লাগে না । তোমার কাছে আমি মাফ চাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমি বললাম মালিক আমার মামা হয় আপনি কি চান আমি বিষয় টা তার কাছে জানাই। যদি জানাই তা হলে অবস্থা কি হবে। আমি জানি আপনার ছেলেরে বিয়ে হয়েছে কয়েক দিন পর আপনার মেয়ের দিবেন আর মামা রে যদি জানাই আমি নিশ্চিত উনি এই টা যে ভাবেই হোক আপনার এই সব কু-কামের কথা আপনার বাড়িতে জানাবে (নানার বাড়ি চট্টগ্রামে )। নানা বলে তুমি আমারে কি করতে বল? আমি কি করলে তুমি খুশি হও? আমি বলমাল মামা আপনার জন্য ২ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছিল, আপনি যদি চান আমার মুখ বন্ধ রাখতে তা হলে ২ হাজার টাকা আমার কাছে থাকুক আর আপনি মামারে ফোন দিয়ে বলে দেন আপনি টাকা বুঝে পাইছেন। এতে আপনার মুখ ও বন্ধ থাকল আমার টাও বন্ধ থাকল। কয় নাতী আমি এই মাসের বুয়ার বেতন দিই নাই দোকানে টাকা বাকী আছে ইত্যাদি ইত্যাদি, আমি বললাম আপনি যে এখানে ১৩ বছর চাকরি করেন আমার জানা আছে আপনি কোন খাত থেকে কত সরান এই গুলো সব আমার জানা আছে। কথা না বড়িয়ে যে কোন একটা প্যকেজ বেচে নিন আমার তাড়াতাড়ি, আমার ঢাকায় যাওয়া লাগবে আর আমার দোস্তরে তাড়াতড়ি হোস্টেলে ফেরত যেতে হবে। নানা বলল আচ্ছা তুমি আমাকে ১ হাজার দাও বাকি এক হাজার তোমার। আমি বললাম আপনি যে অপরাধ করছেন তার প্রায়শ্চিত ১ লাখ টাকা দিয়েও সম্ভব না। আপনাকে যে কোন একটা বেচে নিতে হবে হয় টাকা না হয় সন্মান। পরে রাজি হল । আমি বললাম মামারে ফোন করে বলুন যে আপনি টাকা পাইছেন। উনি তাই করল। পরে আমার মায়া হল ৫০০ টাকা দিয়ে চলে আসলাম । ঢাকা ফেরার সময় ৫ কেজি আম কিনে নিয়ে আসলাম বাসার জন্য খিরসা ৩০ টাকা করে।
ভালো লেখা।
টাকাগুলো ওনাকে দিলেই পারতেন। গরীব মানুষ আফটার অল!
হা হা…গরীবের এইসব করতে নাই… :-))
ভালই লিখেছেন?
ভাল লাগল. লিখাটা ভাল হয়েছে।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ…
এরকম মানুষগুলো কি আমার ঘৃনা লাগে । আমি বুঝতে পারছি না। এই মানুষগুলো মনমানসিকতা কেমন??
আমার ত্ত এরকম একটা কাহীনি আছে । সময় পেলে ব্লগে শেয়ার করব।ধণ্যবা.দদ
সুন্দর করে তুলে ধরার জণ্য
আপনার কাহিনী টা কি জানতে পারি ?…
সময় পেলে শেয়ার করে ফেলেন না একদিন তুসিন ভাই… 😉
taka dorkar celo, oe borake bollae kisu ontoto dito…somokamita akta swavabik pokria…
আহারে নানা মিয়া মেলা কি কামডাই না করতে চাইসিলো… যাই হোক আপনি সতর্ক ছিলেন বিধায় সব ঠিক আছে… তবে শেষের দিকে টাকাটা তাকেই দিয়ে দিতে পারতেন… যাইহোক ভুল করেন নি…
টাকাগুলো তাকে দিয়ে দিলে তো শাস্তি দেওয়া হত না…ভবিষ্যত এ অন্তত টাকার মায়ায় কারো সাথে এমনটি যেন না করে…বাই দ্যা বাই…মনোযোগ দিয়ে লিখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ…
Jotil hoiche boss. Carry on……
good